শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ অপরাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার:
বিদ্যুতের বিল বকেয়া একাধারে তিন মাস হয়ে গেলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কথা থাকলেও বছরের পর বছর ধরে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বিল না দিয়ে রেকর্ড পরিমাণ বকেয়া জমা হয়েছে। সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা উপজেলার মাত্র ১০টি সরকারি অফিসের ২০৭টি সংযোগ লাইনের বকেয়া বিলের পরিমাণ ২৬ কোটি ৮০ লাখ পাঁচ হাজার ৭৫ টাকা। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রে জানা যায়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দিরাই ও শাল্লা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের ১০১টি সংযোগ লাইনের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে ৯৬ লাখ ৪০ হাজার ৪৮৫ টাকা। এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন থানা হেলথ কমপ্লেক্সের ৪৯টি সংযোগ লাইনের ৮৯ লাখ ৩১ হাজার ৩৬৪ টাকা, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্থানীয় সরকার অফিসের ২২টি সংযোগ লাইনের ২৯ লাখ চার হাজার ৯৪ টাকা ও দিরাই পৌরসভার তিনটি সংযোগ লাইনের ২০ লাখ ৮৪ হাজার ৩২৪ টাকা, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন থানা ফুড অফিসারের কার্যালয়ের পাঁচটি সংযোগ লাইনের ২৬ লাখ তিন হাজার ৩৩১ টাকা, মৎস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন থানা ফিশ অফিসারের কার্যালয়ের ৩টি সংযোগ লাইনের ১৫ লাখ আট হাজার ৬২৬ টাকা, ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ভূমি অফিসের তিনটি সংযোগ লাইনের ২৪ লাখ পাঁচ হাজার ২৬৭ টাকা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন থানা কৃষি অফিসারের কার্যালয়ের দুইটি সংযোগ লাইনের ৮৬ হাজার ১৪ টাকা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন স্কুল ও অফিসের ১৭টি সংযোগ লাইনের ২২ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৪ টাকা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন আনসার-ভিডিপি অফিসের দুইটি সংযোগ লাইনের ২০ লাখ চার হাজার ৯৫৬ টাকা।
এদিকে অবৈধ সংযোগ ও বিল বকেয়ার কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের। বিশ্বস্ত একটি সূত্র এতথ্য নিশ্চিত করলেও প্রকৃত তথ্য গোপন করছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সব্যসাচী দাস চয়ন। সূত্র মতে, প্রায় এক লাখ টাকার উপরে বিদ্যুতের বিল বকেয়া রয়েছে। পাশাপাশি অবৈধভাবে সংযোগ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে বিদ্যুতের ব্যবহার। দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সব্যসাচী দাস চয়ন দুটি মিটারে কত টাকা বকেয়া, তা তিনি জানেন না বলে জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের দিরাই উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী মোঃ রুবেল রানা বলেন, আমরা দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের অবৈধ চারটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি। বিদ্যালয়ের বিলে বকেয়া ছিল ৩২ হাজার ৪০৩ টাকা। ইতিমধ্যে তারা পরিশোধ করে সংযোগ নিয়েছেন বলেও তিনি জানান।